রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মেঘনা গ্যাস ফিল্ড অবস্থিত। ১৯৯০ সালে পেট্রোবাংলা মেঘনা গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী এ গ্যাস ক্ষেত্রটির মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ ১০১ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। ১৯৯৭ সালে মেঘনা ফিল্ড থেকে বাণিজ্যিক গ্যাস উৎপাদন শুরু করা হয়। শুরুতে মেঘনা গ্যাস ক্ষেত্র হতে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হয় কিন্তু অত্যাধিক পানি উৎপাদনের কারণে ১০ আগস্ট, ২০০৭ সাল থেকে এ ক্ষেত্রটির গ্যাস উৎপাদন স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে পূন:সম্পাদন করে (ডুয়াল কমপ্লিশন) ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সাল থেকে শর্ট ট্রিং থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু করা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সালে কূপটির লং স্ট্রিং দিয়ে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন শুরু করা হলেও অতিরিক্ত পানি উৎপাদনের জন্য ১৬ মে, ২০১৬ সাল থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে শুধুমাত্র শর্ট স্ট্রিং দিয়ে গড়ে দৈনিক ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। মার্চ ৩১, ২০২৪ পর্যন্ত মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ৮১.৩৬৩ বিলিয়ন ঘনফুট বা শতকরা ৮০.৫৬%।
এ ফিল্ডের একটি মাত্র কূপ হতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গড়ে দৈনিক ৩.৫১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করে ফিল্ডে স্থাপিত দুটি এলটিএক্স টাইপ প্রসেস প্লান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে বিজিএসএল এর সিস্টেমে সরবরাহ করা হয়। গ্যাসের উপজাত হিসেবে দৈনিক প্রায় ৫.১০ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এ গ্যাস ক্ষেত্রে কনডেনসেট ও গ্যাসের গড় অনুপাত এবং পানি ও গ্যাসের গড় অনুপাত যথাক্রমে ১.৪৫৪ ব্যারেল/মিলিয়ন ঘনফুট এবং ১০৬.৪৯৯ ব্যারেল/মিলিয়ন ঘনফুট ছিল। গ্যাসের উপজাত হিসেবে এ ফিল্ডের উৎপাদিত কনডেনসেট বাখরাবাদ ফিল্ডের ফ্রাকশনেশন প্লান্টে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।