তিতাস গ্যাস ফিল্ড বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা শহরের সদরে অবস্থিত। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানী এ গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। ফিল্ডটির কাঠামো উত্তর-দক্ষিণে প্রায় 19x10 বর্গ কিমি অ্যাসেমিট্রিক্যাল অ্যান্টিলাইন এবং ৫০০ মিটার উলম্ব ক্লোজার ব্যাপী বিস্তিত। পেট্রোবাংলার সর্বশেষ পুনঃ অনুমান অনুসারে, তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ 7,582 বিলিয়ন ঘনফুট (BCF)। গ্যাস ক্ষেত্রটি হতে ১৯৬৮ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উৎপাদন হয়ে আসছে এবং মার্চ ৩১, ২০২৪ পর্যন্ত মোট মজুদের সর্বমোট ৫৪৩৬.০৫২ বিলিয়ন ঘনফুট বা শতকরা ৭১.৭০% গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে।
তিতাস ফিল্ডের মোট ২৭ (সাতাশ)টি কূপের মধ্যে ০৯ (নয়)টি কূপ ভার্টিক্যাল এবং অবশিষ্ট ১৮ (আঠারো)টি কূপ ডিরেকশনাল। ১১ কিলোমিটার বিস্তৃত ০৯ (নয়)টি বিভিন্ন লোকেশনে কূপগুলো অবস্থিত। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তিতাস ফিল্ডের ২৩টি উৎপাদনরত কূপ থেকে গড়ে দৈনিক ৩৮৬.৯৭ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে এবং ১০ টি গ্লাইকল ডিহাইড্রেশন টাইপ, ৪ টি লো টেমপারেচার সেপারেটর (LTS) এবং ২ টি লো টেমপারেচার সেপারেটর উইথ গ্লাইকল ডিহাইড্রেশন প্রসেস প্লান্টের মাধ্যমে গ্যাস প্রক্রিয়া করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) এবং গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) এর ট্রান্সমিশন পাইপলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ফিল্ড থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গ্যাসের উপজাত হিসেবে গড়ে দৈনিক ৩৬৭.৮৪ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এ গ্যাস ক্ষেত্রের কনডেনসেট ও গ্যাসের গড় অনুপাত ০.৯৫১ ব্যারেল/মিলিয়ন ঘনফুট এবং পানি ও গ্যাসের গড় অনুপাত ১.০৯২ ব্যারেল/মিলিয়ন ঘনফুট ।
সেলস লাইনে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ড, লোকেশন-সি তে তিনটি গ্যাস বুষ্টার কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কম্প্রেসরের কম্প্রেসন ক্ষমতা দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট। মোট ০৩ (তিন)টি কম্প্রেসরের মধ্যে দুইটি কম্প্রেসার চলমান এবং একটি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।