বর্তমানে কোম্পানির বিভিন্ন ক্ষেত্রে জলাধারের চাপ এবং কূপচাপ উভয়ই একটি নির্দিষ্ট হারে হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, জাতীয় গ্যাস গ্রিডের স্তরে চাপ বাড়িয়ে গ্যাস উত্পাদন চালিয়ে যাওয়ার জন্য 2/3 বছরের মধ্যে বিদ্যমান প্রক্রিয়াকরণ সুবিধাগুলির সাথে গ্যাস কম্প্রেসার স্থাপনের প্রয়োজন হবে। ২০০৭ সাল থেকে বাখরাবাদ ফিল্ড থেকে ভাড়ার ভিত্তিতে বুস্টার কম্প্রেসার দিয়ে চাপ বাড়িয়ে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। জাইকার আর্থিক সহায়তায় গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রাখতে তিতাস ও নরসিংদী ফিল্ডে ক্রয়ের ভিত্তিতে গ্যাস কম্প্রেসার স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও, নতুন সেট সংগ্রহ করে বিকেবি মাঠে বিদ্যমান ভাড়া করা বুস্টার কম্প্রেসার প্রতিস্থাপনের আরেকটি প্রকল্প জিডিএফ অর্থায়নে শুরু করা হয়েছে। পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে নিষ্কাশনের জন্য জলাধারের নিম্নচাপ সহ অতিরিক্ত পানি উৎপাদনের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
কোম্পানির বিদ্যমান জনবল দিয়ে অপারেশনাল কার্যক্রম এবং চলমান প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যাওয়া কঠিন। অন্যদিকে, কোম্পানির রুটিন অপারেশনাল কাজ এবং দেশের বর্তমান গ্যাসের চাহিদা মোকাবেলায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড/প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু নতুন অবস্থান বেড়েছে। এই মুহূর্তে আরও ৭/৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তাই কোম্পানির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ করা প্রয়োজন।
ট্রান্সমিশন লাইনের চাপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গ্যাস উত্পাদন চালিয়ে যাওয়ার জন্য কোম্পানিটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল কম্প্রেসার ইনস্টলেশন এবং অপারেশনাল ব্যয় মেটাতে আর্থিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। এই ধরনের কম্প্রেসার ইনস্টলেশন প্রকল্পের জন্য দাতা সংস্থা বা অন্যান্য উত্স দ্বারা অর্থায়ন করতে হবে। বর্তমানে, কোম্পানিকে বিভিন্ন বাস্তবায়িত ও চলমান প্রকল্পের জন্য দাতা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে অর্থ প্রদান করতে হয়। পরিস্থিতিতে, এই জাতীয় ব্যয়বহুল কম্প্রেসার ইনস্টলেশন প্রকল্পের জন্য ঋণের অর্থ প্রদানের জন্য ব্যয় বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ওয়েলহেড মার্জিন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একই সাথে থিসিস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি প্রয়োজন। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, দেশের গ্যাসের চাহিদা মেটাতে কোম্পানির তিতাস নদীর পূর্ব পাশে ৪টি নতুন কূপ খননের কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ তিতাস নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করতে হবে।
উপরোক্ত কর্মসূচী ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের পর, আশা করা যায় যে কোম্পানিটি সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর এবং আর্থিকভাবে সলভ হবে।